দার্জিলিং জেলার এক ছোট্ট গ্রাম, নাম চারখোল। ডিসেম্বর মাস। বিকেল না হতেই তাপমাত্রা পৌঁছে যায় ৬ ডিগ্রিতে। চারখোল পৌঁছতে যে রাস্তা দিয়ে গাড়ি আসে, তাতে শরীরের হাল একেবারে বেহাল হয়ে যায়। কিন্তু সেখানে গিয়ে প্রকৃতির সৌন্দর্য দেখে কোনও কষ্টই যেন অনুভব করা যায় না। শুনেছিলাম, চারখোল থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা যায় একেবারে কাছে। কিন্তু জায়গাটা যে সম্পূর্ণ পাহাড়ে ঘেরা! তা হলে তাকে দেখব কী করে? স্থানীয়রা আঙুল তুলে যেদিকে দেখাল, সেদিকে তখন জমাট কুয়াশা। মানে, সেদিন আর কোনও ভাবেই তার দর্শন হবে না। অপেক্ষা করতে হবে পর দিন ভোরবেলার। চারখোলে ইলেকট্রিসিটি বেশির ভাগ সময়ই থাকে না। এদিকে সন্ধে নেমে এসেছে। ফলে এদিক-ওদিক বিশেষ না করে তাড়াতাড়ি খাওয়াদাওয়া সেরে মোটা লেপের তলায় ঢুকে পড়াই ঠিক কাজ মনে হলো। পর দিন সকালে ঘুম ভাঙল ছোট্ট পাকিজার ডাকে। ‘‘দিদি, শিগগিরি ওঠো। কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা যাচ্ছে। দেরি করলে কুয়াশায় ঢেকে যাবে।
2 Comments
-
test comment
i9xlcc